প্রকাশিত: Sun, Dec 10, 2023 11:48 PM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 8:13 PM

আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস-২০২৩ এর প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশ


মো. রেজুয়ান খান: ১১ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। মানুষের জীবনে পর্বতের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের এক চতুর্থাংশের চেয়েও বেশি প্রায় ২৭ শতাংশ জায়গা জুড়ে আছে বিস্তৃত পর্বতরাশি। এ পর্বতরাশি থেকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হচ্ছেন পৃথিবীর ২২ শতাংশ মানুষ। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যুগের পর যুগ পর্বত হতে আহরিত সম্পদ দ্বারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছে।

পর্বতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার কৌশল হিসেবে সারাবিশ্বে পর্বত দিবস পালিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিকভাবে পর্বত দিবস উদযাপন করা বেশিদিন আগের কথা নয়। যতদূর জানা যায়, ১৮৩৮ সালে পর্বত দিবস প্রথম পালন করার আভাস পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট হোলিওক কলেজের ছাত্ররা ঐ অঞ্চলের পর্বতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ক্লাস বর্জন করে হোলিওক পর্বতের দিকে যাত্রা শুরু করে। পরে ১৮৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথ কলেজ পর্বত দিবস উদযাপন করে। যুক্তরাষ্ট্রের জুনিয়েতা কলেজ তাদের পর্বত দিবসের ঘোষণা দেয় ১৮৯৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনিভাবে তাদের পর্বত দিবস পালন করা শুরু করে। জনজীবনে পর্বতের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা অনুধাবন করে ২০০২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর ‘আর্ন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা হয়। সেই প্রথম ২০০৩ সালের ১১ ডিসম্বর সারা পৃথিবীতে ‘আর্ন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় এ দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছর দিবসটির গুরুত্বকে অনুধাবন করে একটি থিম নির্ধারিত হয়ে থাকে।

এবারের ২০২৩ সালের ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের থিম জবংঃড়ৎরহম সড়ঁহঃধরহ বপড়ংুংঃবসং ‘পর্বত ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার করা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ঊপড়ংুংঃবস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা হচ্ছে- জৈব, অজৈব পদার্থ ও বিভিন্ন জীবসমন্বিত এমন প্রাকৃতিক একক যেখানে বিভিন্ন জীবসমষ্টি পরস্পরের সাথে এবং তাদের পারিপার্শ্বিক জৈব ও অজৈব উপাদানের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে একটি জীবনধারা গড়ে তোলা। এ ধরনের জীব ও তার পরিবেশের পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্ক মিথস্ক্রিয়ায় গড়ে ওঠা উপাদানকে বাস্তুবিদ্যা বা বপড়ষড়মু বলে। আর জবংঃড়ৎরহম মানে পুনরুদ্ধার করা।